আমাদের শুটকি প্রচলিত বাজারের শুটকির চেয়ে অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল ও বেশী চকচকে।
বাজারের শুটকিতে প্রকট শুঁটকির গন্ধ থাকে অনেকক্ষেত্রে সেটা পচাঁ ও বিষের গন্ধ। আর আমাদের শুটকিতে ফ্যাটি এসিড ভাঙ্গালে গ্রিসারিন হয় এবং গ্লিসারিন স্বাদ ও গন্ধ মিষ্টি হওয়ায় পচাঁ মাছের গন্ধ থাকে না।
বাজারের শুটকি অপেক্ষাকৃত কম শুকানো হয় বেশী লাভের আশায় যাতে করে শুটকির পরিমাণ ওজনে কম হয়। আর আমাদের শুটকি অপেক্ষাকৃত বেশী শুকানো হয় বলে ওজনে হালকা হয় বলে বাজারের শুটকির ৩ গুন বেশী শুটকি ধরে।
বাজারের শুটকিতে সাধারণত প্রসেসিংএর সময় নাড়িঁভুড়ি ও আইশ ফেলা হয় না। কিন্তু আমরা শুটকির করার আগেই কাচাঁ মাছের থেকে নাড়িঁভুড়ি ও আইশ নিয়ে ফেলি।
বাজারের শুটকি প্রসেসিংএর সময় ভাল ভাবে ধুয়া হয়না। যার কারণে রান্নার সময় অনেক সময় গরম পানিতে ধুয়ার পরও ধুলাবাল থাকে যা শুটকির তৈল বা চর্বির উপর ধুলাবালি পড়লে সাবান ও ডিটারজেন্ট ছাড়া যায় না। কিন্তু আমাদের শুটকির তৈরী করি তাজা মাছ দিয়ে। যাতে করে শুটকির চামরা মসৃন থাকে। এবং গরম পানিতে ধোয়ার প্রয়োজন নেই কারণ আমরা প্রসেসিং এমন ভাবে করি যাতে ধুলাবালি ও বিষ থাকেনা।
বাজারের শুটকিতে অধিক লাভের আশায় অনেক বেশী পরিমাণে লবন ব্যবহারের ফলে বেশী লবন ভাব থাকে। কিন্তু আমরা লবন ব্যবহার করি না। তায় ওজনে হালকা হয় স্বাদও ভাল থাকে।
বাজারের শুটকিতে মাছের উপর মাছি না বসার জন্য এবং পরবর্তিতে মাছে পোকা আকৃমণ ঠেকানোর জন্য কৃষিজ কীটনাশক (এন্ডো সালফার) ও ডিডিটি ব্যবহার করা হয়। যা মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনে। কিন্তু আমাদের সেলুলয়েড ও নেট দ্বারা আবৃত স্থানে শুকানো হয় বলে কোন প্রকার মাছি, পোকা ও ধুলাবালি মাছের উপর বসতে পারে না বলে বিষাক্ত কৃষিজ কীটনাশক ও ডিডিটি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
বাজারের শুটকির আদ্রতার পরিমাণ অনেক বেশী প্রায় 30-40%, কিন্তু আমাদের শুটকির আদ্রতা 10-15%
বাজারের শুটকিতে তৈল ও চর্বির পরিমাণ 10-15%, আমাদের শুটকিতে তৈল ও চর্বির পরিমাণ 5-8%